 |
ট্রেডিং কি?
সহজ কথায় বলতে গেলে, স্টক মার্কেট বা শেয়ার মার্কেট এর মধ্যে যে সকল পন্য বা পরিষেবার ক্রয় বিক্রয় করা হয় তাকে বলা হয়, ট্রেডিং। আর এই ক্রয় বিক্রয় করার মূল উদ্দেশ্যে হলো, অধিক পরিমান মুনাফা অর্জন করা। সে কারণে ট্রেডিং এর মাধ্যমে একজন ক্রেতার সাথে একজন বিক্রেতার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। আচ্ছা যাই হোক আজকে আমাদের আলোচিত ওয়েবসাইটের নাম হচ্ছে, grrya.com
grrya.com কি?
সবাই ইতিমধ্যেই অনুমান করে ফেলেছেন এটি একটি ট্রেডিং ওয়েবসাইট। কারণ আলোচনা শুরুতেই বলেছিলাম আজকে একটা ট্রেডিং ওয়েবসাইট নিয়ে ব্লগ লিখতে যাচ্ছি। এই সাইটে ট্রেড করে লাভ বা লস উপার্জন করতে পারেন।
কিভাবে কাজ শুরু করব?
কাজ শুরু করতে হলে প্রথমে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। আর অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য 👉 Click Here For Website 👈 ( বিশেষ এলার্ট: প্রথম ক্লিকে অন্য সাইটে চলে যেতে পারে। এমন হলে ব্যাক আসুন এবং আবার ক্লিক করুন। এইভাবে ২-৩ বার ট্রাই করুন। তাহলে আসল সাইটে পৌঁছে যাবেন। ) এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে।তার পরে একটি ফরম পেয়ে যাবেন এই ফর্মটি ফিলাপ করে নিতে পারেন। অথবা সরাসরি জিমেইল দিয়ে একাউন্টে লগইন করতে পারেন। আর লগইন হয়ে গেলে সরাসরি মূল এন্টারপেজে চলে যাবেন। যেখান থেকে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। আর যেহেতু এটি একটি ট্রেডিং সাইট, এই সাইটে কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ডলার লোড করতে হবে।
কি কি মাধ্যমে ডলার লোড করতে পারব ?
এই সাইটে ডলার লোড করার একটিমাত্র মাধ্যমে আছে। যেটিকে বলা হয় মূলত ক্রিপ্টটু কারেন্সি ডলার। অর্থাৎ USDT ডলার। আপনি চাইলে ক্রিপ্টটুর যে কোন ওয়ালেট থেকে এখানে ডলার লোড করতে পারবেন । সর্বনিম্ন ৫ ডলার হলেই এই সাইটে ট্রেডিং করতে পারবেন ।
গুরুত্বপূর্ণ টপিক:
এই সাইটে কাজ করার মূল শর্ত হচ্ছে জোড় সংখ্যা এবং বিজোড় সংখ্যা। যেগুলোকে ওয়েবসাইটের ভাষায় ওড এবং ইভেন বলা হয়। অর্থাৎ ইভেন হচ্ছে জোড়া সংখ্যা যেমন ০,২,৪,৬,৮ ইত্যাদি। এবং ওড হচ্ছে বিজোড়া সংখ্যা যেমন ১,৩,৫,৭,৯ ইত্যাদি। এটি একটি গেমিং সাইট । আপনাকে অনুমান করে ধরতে হবে জোড় উঠতে পারে নাকি বেজোড় উঠতে পারে। আপনার অনুমান যদি সঠিক হয় তাহলে আপনি যে পরিমাণ ডলার ধরবেন তার দ্বিগুণ প্রফিট পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ যদি ১০ ডলার দিয়ে ট্রেড ধরেন তাহলে ২০ ডলার রিটার্ন আসবেন। মানে ১০ ডলার প্রফিট হবে। এবং আপনি যদি ১০ ডলার ধরে ট্রেড করে অনুমান ভুল হয়। তাহলে আপনার ১০ ডলার পুরো টাকা লস হয়ে যাবে। এই দিকটা অবশ্যই মাথায় রাখবেন। আর আপনারা চাইলে তাদের গ্রুপের সিগ্নাল গুলো ফলো করতে পারেন। এক্ষেত্রে একটা কথা রাখবেন সব সময় তারা যে সঠিক সিগন্যাল দেবে বিষয়টা মোটেও এমন না। অনেক সময় তারা নিজেরাও ভুল সিগন্যাল দিয়ে থাকে। তাই বুঝতেই পারতেছেন কাজ করতে হলে বোঝে শুনে ভেবেচিন্তে কাজ করতে হবে।
রেফার করে ইনকাম করা যাবে?
রেফার থেকে ইনকাম দেয় না এইরকম সাইট পৃথিবীতে খুবই কম আছে। কারণ এটি একটি মার্কেটিং পলিসি। যত বেশি রেফার ইনকাম থাকবে তত বেশি ইউজার তাদের ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করবে। কারণ প্রফিটের আশায় সবাই সবাইকে রেফার করবে। যাই হোক এই সাইট থেকেও রেফার করে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করার সুযোগ আছে। রেফার থেকে ইনকাম করার কয়েকটি মাধ্যম আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো যদি কাউকে রেফার করেন, সে বেক্তি যে পরিমাণে ডলার ডিপোজিট করে এই সাইটে ট্রেড করবে তার ওপর প্রথম লেভেল থেকে ২০% কমিশন পাবেন। এবং দ্বিতীয় লেভেল থেকে ১০% কমিশন পাবেন। অর্থাৎ মনে করেন কাউকে রেফার করেছেন। সে যদি বেক্তি প্রথম লেভেল থেকে হয় তাহলে, উনি যদি ১০০ ডলার দিয়ে এই সাইটে ট্রেড করেন। তার থেকে আপনার একাউন্টে অটোমেটিকভাবে ২০ ডলার যুক্ত হয়ে যাবেন। এবং দ্বিতীয় লেভেলের হলে, ১০০ ডলারের জন্য ১০ ডলার পেয়ে থাকবেন। কি বিষয়টা খুবই ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে তাই না। এছাড়াও আরো একটি সিস্টেম হল, যাদেরকে রেফার করবেন , তাদের মধ্যে যারা ডিপোজিট করবে। তাদেরকে বলা হয় ভেলিড রেফার। এখন এই সাইটে মাত্র একজন ব্যক্তিকে ভেলিড রেফার করে ১ ডলার ইনকাম করতে পারবেন। এইভাবে যদি পাঁচ জন ব্যক্তিকে রেফার করতে পারেন। তাহলে ১২ ডলার ইনকাম হবে। অনুরূপভাবে এরকম অনেক লেভেল আছে। যদি ৩০ জনকে রেফার করতে পারেন তাহলে ৮০ ডলার ইনকাম হবে। আবার ৫০ জনকে করতে পারলে ১৪০ ডলার ইনকাম হবে। এইভাবে সর্বশেষ ১০০ জন ব্যক্তিকে রেফার করতে পারলে ৩০০ ডলার ইনকাম হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই একটি কথা মনে রাখবেন। যাকে রেফার করবেন তাকে অবশ্যই ডিপোজিট করতে হবে। তাহলে ওই ব্যক্তি আপনার ভেলিড রেফারে যুক্ত হবে। ভেলিড রেফারে যুক্ত হলেই উক্ত কমিশন গুলো পেয়ে থাকবেন। এছাড়াও এই সাইটে রেফার থেকে ইনকাম করার আরো একটি মাধ্যম আছে, যেটিকে বলা হয় ডেইলি কমিশন। যে কমিশন গুলো পাওয়ার জন্য কাউকে ডিপোজিট করতে হবে না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি ১০ জন ব্যক্তিকে রেফার করতে পারেন তাহলে এক ডলার বোনাস পাবেন। এভাবে যদি ৫০ জনকে রেফার করতে পারেন তাহলে ৫ডলার বোনাস পাবেন। এভাবে ১০০ জন হলে ১০ ডলার। ২৫০ জন হলে ২৫ ডলার। এবং ৫০০ জন হলে ৫০ ডলার বোনাস পাবেন। আশা করি রেফার সংক্রান্ত সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।
সর্বনিম্ন কত ডলার উত্তোলন করা যায়?
সর্বনিম্ন ৫ ডলার হলে এই সাইট থেকে উত্তোলন করে নিতে পারবেন। এবং উত্তোলন করার ক্ষেত্রে একটি বেশি মনে রাখবেন অবশ্যই আপনাকে ক্রিপ্টো কারেন্সির যেকোনো ওয়ালেটে উত্তোলন করে নিতে হবে। অর্থাৎ বাইনানস, পেয়ার, কয়েনবেস, ট্রাস্ট ওয়ালেট ইত্যাদি এই সকল মেথডে উত্তোলন করতে পারবেন।
সমস্যা হলে করণীয় কি?
সমস্যা যেহেতু আছে সমাধান অবশ্যই আছে। ওয়েবসাইটে তাদের লাইভ চ্যাট আছে । সেখানে চলে গেলে তাদের এডমিনের সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেন। কোন সমস্যা হলে অবশ্যই তাদের জানাতে ভুলবেন না। আশা করি খুব দ্রুত আপনার সমস্যা সমাধান করে দিবে। এখন আমরা সর্বশেষ ট্রেডিং এর সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে জানব।
ট্রেডিং এর সুবিধা:
শেয়ার বাজারে ট্রেডিং করতে গেলে অল্প ক্যাপিটাল দিয়েই শুরু করা যায়।
ট্রেডিং এর মাধ্যমে রেগুলার ইনকাম হয়।মার্কেট ডাউন চলে গেলেও ট্রেডাররা ইনকাম করতে পারে Short Sell এর মাধ্যমে । (শর্ট selling শুধুমাত্র ইন্ট্রাডে ও অপশন ট্রেডে করা যায়)ট্রেডিং যেহেতু টেকনিক্যাল এনালাইসিস ( Technical Analysis) নির্ভর তাই কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল সম্পর্কে কোন ধারণা না রাখলেও চলে
ট্রেডিং এর অসুবিধা
ট্রেডিং খুবই রিস্কি ( High Risk) হয়ে থাকে।শেয়ার মার্কেটে ট্রেডিং সম্পূর্ণভাবেই প্রেডিকশন নির্ভর। মার্কেট কখন কি মুভমেন্ট করবে এটি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত ভাবে কেউ বলতে পারে না।ট্রেডিং অনেকটা নেশার মত হয়ে যায়, তাই অনেকে ওভার ট্রেডিং করে বসে এবং তার সম্পূর্ণ ক্যাপিটাল হারিয়ে ফেলে।অপশন ট্রেডে যেমন অল্প সময়ে অনেক গুণ রিটার্ন পাওয়া যায় তেমনি আবার উল্টোদিকে আপনার সমস্ত ক্যাপিটাল ও চলে যেতে পারে।
আশা করি আপনি শেয়ার মার্কেটে ট্রেডিং সম্পর্কে খুবই সহজ ভাষায় বুঝতে পারলেন। পোস্ট টি ভালো লাগলে, অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে যারা শেয়ার মার্কেট নিয়ে আগ্রহী, তাদের কাছে শেয়ার করবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই ওয়েবসাইট নিয়ে আমার ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও আছে। যারা ভিডিওটি দেখেন নাই অবশ্যই নিচের প্লে নাও বাটনে ক্লিক করে ভিডিওটি দেখে নেবেন। কারণ সবাই জানেন ভিডিওতে সব সময় হাতে কলমে সরাসরি শেখানো হয়। আজকের মতন এখানেই শেষ করছি আবারো হয়তো কখনো নতুন কোন পোস্ট লিখতে বলবো। আল্লাহ হাফেজ।
সর্বনিম্ন কত ডলার উত্তোলন করা যায়?
সর্বনিম্ন ৫ ডলার হলে এই সাইট থেকে উত্তোলন করে নিতে পারবেন। এবং উত্তোলন করার ক্ষেত্রে একটি বেশি মনে রাখবেন অবশ্যই আপনাকে ক্রিপ্টো কারেন্সির যেকোনো ওয়ালেটে উত্তোলন করে নিতে হবে। অর্থাৎ বাইনানস, পেয়ার, কয়েনবেস, ট্রাস্ট ওয়ালেট ইত্যাদি এই সকল মেথডে উত্তোলন করতে পারবেন।
সমস্যা হলে করণীয় কি?
সমস্যা যেহেতু আছে সমাধান অবশ্যই আছে। ওয়েবসাইটে তাদের লাইভ চ্যাট আছে । সেখানে চলে গেলে তাদের এডমিনের সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেন। কোন সমস্যা হলে অবশ্যই তাদের জানাতে ভুলবেন না। আশা করি খুব দ্রুত আপনার সমস্যা সমাধান করে দিবে। এখন আমরা সর্বশেষ ট্রেডিং এর সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে জানব।
ট্রেডিং এর সুবিধা:
শেয়ার বাজারে ট্রেডিং করতে গেলে অল্প ক্যাপিটাল দিয়েই শুরু করা যায়।
ট্রেডিং এর মাধ্যমে রেগুলার ইনকাম হয়।মার্কেট ডাউন চলে গেলেও ট্রেডাররা ইনকাম করতে পারে Short Sell এর মাধ্যমে । (শর্ট selling শুধুমাত্র ইন্ট্রাডে ও অপশন ট্রেডে করা যায়)ট্রেডিং যেহেতু টেকনিক্যাল এনালাইসিস ( Technical Analysis) নির্ভর তাই কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল সম্পর্কে কোন ধারণা না রাখলেও চলে
ট্রেডিং এর অসুবিধা
ট্রেডিং খুবই রিস্কি ( High Risk) হয়ে থাকে।শেয়ার মার্কেটে ট্রেডিং সম্পূর্ণভাবেই প্রেডিকশন নির্ভর। মার্কেট কখন কি মুভমেন্ট করবে এটি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত ভাবে কেউ বলতে পারে না।ট্রেডিং অনেকটা নেশার মত হয়ে যায়, তাই অনেকে ওভার ট্রেডিং করে বসে এবং তার সম্পূর্ণ ক্যাপিটাল হারিয়ে ফেলে।অপশন ট্রেডে যেমন অল্প সময়ে অনেক গুণ রিটার্ন পাওয়া যায় তেমনি আবার উল্টোদিকে আপনার সমস্ত ক্যাপিটাল ও চলে যেতে পারে।
আশা করি আপনি শেয়ার মার্কেটে ট্রেডিং সম্পর্কে খুবই সহজ ভাষায় বুঝতে পারলেন। পোস্ট টি ভালো লাগলে, অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে যারা শেয়ার মার্কেট নিয়ে আগ্রহী, তাদের কাছে শেয়ার করবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই ওয়েবসাইট নিয়ে আমার ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও আছে। যারা ভিডিওটি দেখেন নাই অবশ্যই নিচের প্লে নাও বাটনে ক্লিক করে ভিডিওটি দেখে নেবেন। কারণ সবাই জানেন ভিডিওতে সব সময় হাতে কলমে সরাসরি শেখানো হয়। আজকের মতন এখানেই শেষ করছি আবারো হয়তো কখনো নতুন কোন পোস্ট লিখতে বলবো। আল্লাহ হাফেজ।
